প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩২
শিপন ভূঁইয়া: বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণের স্বপ্ন করপোরেট সেক্টরে চাকরি করা। করপোরেট চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সেক্টর অন্যতম জনপ্রিয় একটি পছন্দ। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৬১টি তালিকাভুক্ত ব্যাংক রয়েছে—এর মধ্যে ৬টি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট কর্মীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৬৭ জন, যেখানে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ২৪৫ জন। অর্থাৎ চাকরির চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তেমন তৈরি হচ্ছে না। অন্যদিকে, বীমা সেক্টরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
যে কোনো দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকের পাশাপাশি বীমার ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বীমার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। দেশে এখনো বীমা পেনিট্রেশন তুলনামূলকভাবে কম—এ কারণে সেক্টরটিতে কাজের সুযোগ অসীম।
বাংলাদেশে মোট ৮২টি বীমা কোম্পানি রয়েছে- ৩৬টি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ৪৬টি নন-লাইফ (জেনারেল) ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এর মধ্যে সরকারি ১টি লাইফ ও ১টি সাধারণ বীমা কোম্পানি এবং ২টি বিদেশি জীবন বীমা কোম্পানি রয়েছে।
বাংলাদেশের বীমা শিল্প পূর্বের বিভিন্ন ভুল–ত্রুটি সংশোধন করে বর্তমানে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে বীমা খাতে এখন ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া বইছে।
বীমা শিল্পে বর্তমানে দক্ষ পেশাজীবীর ঘাটতি অত্যন্ত প্রকট। দক্ষ জনবলের মাধ্যমেই এই শিল্প অচিরেই শক্ত অবস্থানে পৌঁছাবে। আগামীতে বীমা খাত লক্ষ লক্ষ তরুণ–তরুণীর কর্মসংস্থানের বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠবে—এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
ব্যাংকিং চাকরির মতোই এখন বীমা সেক্টরেও তরুণদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। অনেকেই দেশ–বিদেশ থেকে বীমা বিষয়ক উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করছেন। দেশের মেধাবী তরুণরা চাকরির বাজারে এখন প্রথম পছন্দ হিসেবে বীমা সেক্টর বেছে নিচ্ছেন।
যারা স্থায়ী ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত উন্নয়ন, আর্থিক স্থিতি এবং করপোরেট পরিচিতি চাইছেন—তাদের জন্য এখনই বীমা সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার সুবর্ণ সুযোগ। দক্ষতা, প্রফেশনালিজম এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে এই খাতে গড়ে তোলা যায় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
লেখক: কলামিস্ট ও ট্রেইনার।
এমএসএস
মন্তব্য করুন: